আমেরিকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪ , ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেডারেল এজেন্ট পরিচয়ে জালিয়াতি, মিলফোর্ড মহিলা অভিযুক্ত কিশোর আটক কেন্দ্র থেকে পালিয়েছে দুই  কিশোর হুইটমারকে হুমকিমূলক ইমেল আইনি লড়াই চালাবেন না ওয়েস্টল্যান্ডের বাসিন্দা মেমোরিয়াল ডে'তে  ১ মিলিয়নেরও বেশি মিশিগান বাসিন্দা ভ্রমণ করতে পারেন যৌন নিপীড়নে দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন ফার্মিংটন কোচ ওকল্যান্ড কাউন্টির জঙ্গলে ছোট বিমান বিধ্বস্ত শেলবি টাউনশিপে অবৈধ ওপিওড প্রেসক্রিপশনে ডাক্তারের ১২ বছরের সাজা ডেট্রয়েট চিড়িয়াখানার সিম্বা সিংহ মিশিগানকে বিদায় জানায় যৌন নিপীড়নের দায়ে ইংহাম কাউন্টির এক ব্যক্তির ২০ বছরের কারাদণ্ড ওয়েইন কাউন্টি ১০০টি এয়ার কোয়ালিটি মনিটর চালু করেছে নরসিংদীতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে গায়ক পিয়ালসহ নিহত ২ ডেট্রয়েট নিউজ রিপোর্টার সারা রাহাল মনোনীত প্রধান রাস্তার কাজের জন্য ২২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ লিভোনিয়ায় বিনামূল্যের কমিউনিটি কলেজের পরিকল্পনা করছেন হুইটমার আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ আসামির যাবজ্জীবন, ৬ জন খালাস চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত মিশিগানে ১১ টর্নেডোর আঘাত, বাড়ি-ঘর ধ্বংস মিশিগানের তিনটি টর্নেডোর আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চুক্তি না হলে ধর্মঘটের অনুমতি দিয়েছেন ওয়ারেন স্ট্যাম্পিং কর্মীরা গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাতাদের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা আসছে
কতদিন এই খুশি থাকবে আওয়ামী লীগের?

তফসিল ঘোষণার পর কি করতে যাচ্ছে বিএনপি? 

  • আপলোড সময় : ১৭-১১-২০২৩ ০২:১৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-১১-২০২৩ ০২:১৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
তফসিল ঘোষণার পর কি করতে যাচ্ছে বিএনপি? 
কলকাতা, ১৭ নভেম্বর : বাংলাদেশে ঘোষণা হয়ে গেল তফসিল। ঘৃণাভরে প্রত্যাখান বিএনপি’র। দিল বড় হুঁশিয়ারি। আরও মারাত্মক হতে চলেছে অগ্নিগর্ভ আন্দোলন। এত অবরোধেও কি কাজ হল না? শত বাধা ঠেলে নির্বাচনের আয়োজন করতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার। কোনো বড় গন্ডগোল হবে না তো? এবার কোথায় গিয়ে ঠেকবে বিরোধী দলগুলোর সিদ্ধান্ত? শেষমেষ কি সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন মেনে নেবে? বেজায় খুশি আওয়ামী লীগ।
বর্তমানে বাংলাদেশে চলমান একাদশ সংসদের মেয়াদ, যা শেষ হবে ২০২৪ এর ২৯ জানুয়ারি। বাংলাদেশের সংবিধান বলছে, ঠিক এই সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করাটা বাধ্যতামূলক। তাই পরিকল্পনা মাফিক নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করল পরবর্তী নির্বাচনের তফসিল। সাধারণত তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটগ্রহণের মধ্যে পার্থক্য থাকতে হয় অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ দিন। দেশটার নির্বাচন কমিশনার জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচন হবে আগামী বছরের ৭ই জানুয়ারি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩০শে নভেম্বর। মনোনয়ন পত্র বাছাই চলবে ডিসেম্বরের ১ থেকে ৪ তারিখ পর্যন্ত। কেউ যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে চান, সেক্ষেত্রে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তা করতে হবেন। নির্বাচন হবে ৩০০ টি আসনে। এর আগে দেশটাতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর। তার আগেরটা অর্থাৎ দশম সংসদ ভোট হয় ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি। হিসেব বলছে, বাংলাদেশের নির্বাচনের অধিকাংশটাই হচ্ছে ডিসেম্বরের শেষ কিংবা জানুয়ারির শুরুতে। নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট বলেই দিয়েছেন, নির্বাচনে যদি কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন, সেই চেষ্টাকে প্রতিহত করা হবে।
বুঝতেই পারছেন, বাংলাদেশ সরকার আটঘাট বেঁধে নির্বাচনের পরিকল্পনা করেছে। বিএনপির দাবি তারা মানেনি। সংবিধান অনুযায়ী হতে চলেছে দেশটার নির্বাচন। ঝামেলা যে হতে চলেছে, গন্ডগোল যে বাঁধবে তারা আঁচ বহুদিন আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। আসলে তফসিল ঘোষণা নিয়ে দেশটার মধ্যে কম উত্তেজনার ছিল না। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বাংলাদেশ সরকার এবং বিরোধী দল গুলোর মধ্যে বিরোধ চরমে। যুক্তরাষ্ট্র বারংবার শান্তিপূর্ণ সংলাপে বসার কথা বললেও তা শেষমেষ ব্যর্থ হল।
তবে বিএনপি যে চুপ করে আছে এমনটা কিন্তু এক্কেবারে নয়। তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্তকে দেগে দিয়েছে একতরফা তামাশা বলে । বিএনপি’র মতে, নির্বাচন কমিশনার মশকরা করছেন। উল্টে হরতাল ডেকেছে বিরোধী দল গুলো। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে আরো কঠিন থেকে কঠিনতর হতে চলেছে তাদের আন্দোলন। যদি দেশে কোন অচলাবস্থা বা চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয় তার পুরো দায়ভার বহন করতে হবে নির্বাচন কমিশন আর আওয়ামী লীগ সরকারকে। নির্বাচন কমিশন সব জেনেশুনেই বাংলাদেশকে গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দিল। এমনটাই দাবি বিএনপির। একই সুরে সুর মেলাচ্ছে জামায়েত ইসলামী, তারাও তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। অপরদিকে তফসিল ঘোষণাকে সাদরে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটার কথায়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই।
এখন এটাই দেখার, কোথাকার জল কোথায় গড়ায়। নির্বাচনের দিন না আসা পর্যন্ত হয়ত এমনটাই চলতে থাকবে। আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। আপনার কি মনে হয়? আওয়ামী লীগ আর বিএনপির ঘাতপ্রতিঘাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তো? আপনি শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটটা দিতে পারবেন তো?
সৌজন্যে- প্রথম কলকাতা

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
পুলিশ অফিসারকে গুলি, ল্যান্সিং বাসিন্দা অভিযুক্ত

পুলিশ অফিসারকে গুলি, ল্যান্সিং বাসিন্দা অভিযুক্ত